সুন্দরবনের মাটিতে কোনো ফুল একা ফোটে না—সেখানে বট আর কেওড়া, খলিশা আর পাসুর ফুল সব একসঙ্গে ডালে ঝোলে, জলে পড়ে, বাতাসে ভেসে।
মৌমাছিরা সেই বনে গায় সংগীত, আর তারই সারাংশ হয় এই মিশ্র ফুলের মধু।
এটি একরঙা কোনো স্বাদের নয়—বরং এটি হল এক বুনো রাগিণী, যেখানে সরিষার ঝাঁজ, খলিশার কোমলতা আর গেওয়ার ফুলের মধুরতা একত্রে মিশে এক অনন্য সোনালি রস তৈরি করে।
এই মধুতে আছে সুন্দরবনের গভীর নিশ্বাস—নোনা বাতাসে ভেজা পল্লব, সূর্য ঝরা বৃষ্টির দুপুর, আর অরণ্যের নিজের হাতে বানানো উপহার।